Posts

Image
মনের মতো শোভনের আজ বড় শান্তির দিন। মেয়ে বেশ কয়েক বছরের জন্য চলে গেল তার স্বপ্ন স্বার্থক করতে। সঙ্গে বাবার ইচ্ছেটাও পূরণ করে দিয়ে গেল। মেয়ের জন্য গর্ব-উদ্বেগের সঙ্গে সঙ্গে আজ মুক্তির আনন্দে বিহ্বল শোভন। আর অলকার মুখ দেখতে হবে না। বাঁকা বাঁকা কথাও শুনতে হবে না। অকারন ঝামেলা গুলোও আর হবে না। ওঃ শান্তি। ২৩টা বছর ধরে জ্বালিয়েছে বউটা। এত চাহিদা সামলাতে গিয়ে হিমসিম খেয়েছে শোভন প্রতি পদে। জন্মদিনে কেক চাই। বিবাহবার্ষিকীতে ফুল চাই। বৃষ্টিতে একসাথে ভিজতে চাই। পুজোর ভিড়ে ঘুড়ে বেড়াতে চাই…… শুধু চাই চাই আর চাই। না পেলেই গোসা। যত্ত সব আজে বাজে কথা। শোভনও অবশ্য ছাড়নেওয়ালা নয়। সে ও ট্যাকোশ     ট্যাকোশ     কথা শুনিয়ে দিত। ব্যাস রোজ ঝামেলা লেগেই থাকতো। হাজার বার অলকাকে শোভন বলেছে ছেড়ে চলে যেতে। সে মেয়ে যায়ই না। বলে, “কেন যাব?” শেষ মেশ বিরক্ত হয়ে অবশ্য গেছিল শোভনকে ছেড়ে। কিন্তু যন্ত্রনা দিয়েই গেল। মেয়েটাকে ট্যাঁকে করে নিয়ে গেল। বাপের মন কাঁদে মেয়েটার জন্য। ব্যাস মাঝে মাঝেই ছুটল শোভন মেয়ের জন্য। অসহ্য, বিরক্তিকর লাগত। তবুও মেয়েটাকে কাছে পাওয়াটা বড় ব্যাপার। কিন্তু বউয়ের থেকে মুক্তি নেই। কথা শোন

বসন্তের কাছে আবদার.......

Image
  ও  বসন্ত ভাই , যাওয়ার আগে আমাদের একটু রঙ লাগিয়ে দিয়ে যাও না গো ! তুমি নিজের খেয়ালে , হাসতে হাসতে এমন করুন সুরে গান গেয়ে বেড়াও কী করে বলত ? আর তুমি এমন গোপনে এসে , সবাইকে কাঁদিয়ে প্রতিবার চলে যাওই বা কেন ? তবে যাই বলো, তুমি কিন্তু চির তরুন। আর তাই তো প্রভাতাদিত্যের মত দিপ্তীময় তুমি। তোমার ওই দীপ্তির আভা সমাজের হৃৎপিণ্ডটাকে একটু রঙ্গিন করে দিলেও তো পারে বলো! আর আমাদের কাজ কম্মগুলো যদি সাদা-কালো দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে তোমার স্পর্শে একটু রঙিন হতে পারে, তাহলেও তো বেশ হয়, তাই না? সাঝের ধুসরতার মলিনতাও তো মুছে যেতে পারে তোমার রঙে? আর নিশিথের কাণ্ডারিরা তোমার রঙ দেখতে পেলেই বা মন্দ কী? তাই তোমাকে অনুরোধ করছি, যাবার আগে এ ধরণীকে জাগিয়ে দিয়ে যাও। তোমার তরঙ্গ আছড়ে ফেল বসুন্ধরার বুকে। অমানিশার রাতে যেমন তারারা হাসে, শৈলপ্রান্তে যেমন পবিত্র ঝর্না নেমে আসে, কৃষ্ণ মেঘের বক্ষ ভেদ করে যেমন সৌদামিনী গর্জে ওঠে, তাণ্ডবের মধ্যেও যেমন ছন্দ থাকে তেমন করেই তুমি দোল জাগাও এ ধরনীর বুকে। এগিয়ে নিয়ে চল আমাদের সবাইকে। যত কান্না, যত বাধা সব তুচ্ছ করে এগিয়ে নিয়ে চল। আর তোমার রঙে রঙ